ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম: যেভাবে NID Form 13 পূরণ করবেন
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান? জানুন NID Form 13 পূরণ করে কিভাবে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করবেন এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে বিস্তারিত তথ্য।
বিভিন্ন কারণে হয়তো আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হতে পারে। আজকের ব্লগে জানাবো, কিভাবে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হয়, NID Transfer করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করবেন বিস্তারিত সকল তথ্য।
আমাদের জীবন জীবিকার কারণে নিজের স্থায়ী ঠিকানায় বসবাস না করে বিভিন্ন এলাকায় থাকতে হয়। লেখাপড়া, চাকরী, ব্যবসা বা অন্য যে কোন কাজের প্রয়োজনে এলাকাও পরিবর্তন করতে হয়। সেই সাথে হয়তো আমাদের ভোটার এলাকাও পরিবর্তন করতে হতে পারে।
যারা স্থায়ী ঠিকানায় ভোটার হয়েছেন, ভোট দেয়ার জন্য যেখানেই থাকুন না কেন স্থায়ী ঠিকানায় আসতে হয়। আবার অনেকে ভোটও দিতে পারেন না। তাই অনেকে বর্তমান ঠিকানায় ভোটার হয়, আর বার বার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে ভোটার এলাকাও পরিবর্তন করতে হয়।
আসুন তাহলে জেনে নিই, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া ও কাগজপত্র কি কি লাগবে বিস্তারিত সকল তথ্য।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম
ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তর করার জন্য প্রথমে আপনাকে NID Form 13 ডাউনলোড প্রিন্ট করে নিতে হবে। তারপর ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করুন। সবশেষে বর্তমান ভোটার এলাকার উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফরমিটি জমা দিন। ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার ভোটার এলাকা পরিবর্তন হবে।
বর্তমানে আপনি যে এলাকায় ভোটার আছেন, হতে পারে এটি আপনার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা। সে এলাকার উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিজে উপস্থিত হয়ে ভোটার স্থানান্তর ফরম (NID Transfer Form) পূরণ করে জমা দিতে হবে।
ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন অনুমোদন হলেই, ওই এলাকার ভোটার তালিকায় আপনার নাম অর্ন্তভুক্ত হয়ে যাবেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আপনি ভোট দিতে পারবেন।
ভোটার এলাকা স্থানান্তরের পর আপনি কিন্তু নতুন ঠিকানা যুক্ত জাতীয় পরিচয় পত্র পাবেন না। অর্থাৎ ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড দেয়া হয় না। এক্ষেত্রে যদি আপনার সংশোধিত জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়, আপনাকে NID Reissue Fee পরিশোধ করে জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে
ভোটার স্থানান্তর করতে যে কাগজপত্রগুলো আপনার লাগবে তা হচ্ছে:
- NID Form 13
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি;
- যে এলাকায় স্থানান্তর হবেন সেই এলাকার নাগরিকত্ব সনদ;
- বিদ্যুৎ/পানি বিল/ট্যাক্স রশিদ/বাড়ি ভাড়ার প্রমাণপত্র;
- ফরম-১৩ এর ২য় পৃষ্ঠায় শনাক্তকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার (ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ চেয়ারম্যান) জনপ্রতিনিধির NID নম্বরসহ নাম, স্বাক্ষর ও সিল থাকতে হবে।
আরও পড়তে পারেন:
যেভাবে ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩ পূরণ করবেন
প্রথমে ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩ pdf download করে নিন। এরপর এটি প্রিন্ট করে নিচের দেখানো পদ্ধতিতে সঠিকভাবে পূরণ করে অন্যান্য কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে। তবে PDF এডিটর দিয়ে কম্পিউটারে তথ্য পূরণ করে তারপর প্রিন্ট করে নিতে পারেন যদি সম্ভব হয়।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩ pdf download
ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি
ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি হচ্ছে ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা। এখানে ২০০ টাকা ফি এবং এর ১৫% ভ্যাট ৩০ টাকা। বিকাশ, রকেট বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের ফি জমা দিতে পারবেন।
বিকাশের মাধ্যমে ভোটার স্থানান্তর ফি দেয়ার জন্য, বিকাশ অ্যপে লগইন করুন। এরপর Pay Bill > Government Fee > NID Service অপশনে যান। আবেদনের ধরণ হিসেবে NID Info Correction সিলেক্ট করে NID নম্বর দিয়ে বিল পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে সাধারত ৭ থেকে ১৫ দিন লাগে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটার স্থানান্তর করার জন্য সঠিকভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিবেন। এরপর ৭ পর পর এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখুন যে আপনার আবেদনে তাদের কোন জিজ্ঞাসা আছে কিনা, থাকলে তা মিটআপ করুন।
নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম ও পারফরমেন্সের উপর নির্ভর করে অনেক সময় কিছুটা দেরি হতে পারে তবে কোনভাবেই তা ৩০ দিনের বেশি লাগার কথা নয়।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন সম্পর্কে আরও কোন তথ্য জানার প্রয়োজন থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের Facebook Page এ। অথবা আপনার সমস্যা বা প্রশ্ন জানিয়ে কমেন্ট করুন। আমরা উত্তর দিতে অবশ্যই চেষ্টা করবো।