জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনা

এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য জনসাধারণের হয়রানি কমাতে নির্বাচন কমিশন কিছু নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। জানুন বিস্তারিত।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে নির্দেশনা

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে অযৌক্তিক দলিলাদি না চাওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন রাখারও নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী সোমবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে এনআইডি সেবা (NID Service) তরান্বিত করে নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে মাঠপর্যায়ে ১২টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যই ছিল নাগরিক সেবা আরও সহজ ও গতিশীল করা। সে লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে ক, খ, ও গ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনসমূহ সংযুক্ত দলিলাদি যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনানুসারে তদন্ত করে আবেদন নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করে নাগরিক সেবাকে গতিশীল করার নিমিত্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি সামনে রেখেই এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার আওতাভুক্ত ক্যাটাগরির আবেদন পরীক্ষা করে নিজেই নিষ্পত্তি করবে। এ জন্য যথাযথ শিক্ষাসনদ, জন্মসনদ বা অন্য যৌক্তিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও অযৌক্তিকভাবে কোনো কাগজপত্র চাওয়া যাবে না।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনে ইসির নির্দেশনা

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা হলো;

  1. নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে।
  2. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাভুক্ত (ক, খ, গ) ক্যাটাগরির আবেদনসমূহ পরীক্ষান্তে নিজেই নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করতে পারবেন।
  3. যথাযথ শিক্ষা সনদ, জন্ম সনদ বা অন্যান্য যৌক্তিক প্রয়োজনীয় দলিলাদি থাকা সত্ত্বেও অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত দলিলাদি চাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  4. দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন রাখা হতে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে শুনানী গ্রহণ ও দাখিল করা যৌক্তিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাধীন আবেদনসমূহ নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করতে হবে।
  5. মাঠপর্যায়ে সব ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ (দুই) দিন শুনানী গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুনানী প্রদানের তারিখের পরবর্তী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
  6. ক্যাটাগরি বিভাজনের পর হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনের আবেদনগুলো ক্যাটাগরি ‘ক’ ৭ কার্য দিবস, ক্যাটাগরি ‘খ’ ১৫ কার্য দিবস ও ক্যাটাগরি ‘গ’ ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে নিষ্পন্ন করবেন।
  7. আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা তার আওতাধীন যে সব আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যর্থ হবেন, সে সব আবেদনসমূহের সংশ্লিষ্ট দলিলাদি, তদন্ত প্রতিবেদন এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা সুস্পষ্ট মতামতসহ আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির জন্য মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রেরণ করবেন। এক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনের আলোকে ‘গ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘ঘ’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের সুপারিশ করতে পারবেন।
  8. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে তার কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারে ইউজার অ্যাকাউন্টটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। সংশোধনের আবেদন নিষ্পন্নের বিষয়টি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে। সব প্রকার লগ এনআইডি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে, এতে প্রত্যেক ইউজার তার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় থাকবে।
  9. যে সব নাগরিক অনলাইনে আবেদন করতে অসমর্থ হবেন তাদের উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে অনলাইনে আবেদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। হেল্প ডেস্ক অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ ও সংশোধন সংশ্লিষ্ট যৌক্তিক দলিলাদির বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করবে।
  10. এছাড়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদনের ক্যাটাগরি বিভাজন করার ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

তথ্যসূত্র- যুগান্তর অনলাইন, ২৬ জুলাই ২০২২

Advertisement
ক্যাটাগরিভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
হোমপেইজNID BD
Advertisement

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।