এখন চাকরী প্রার্থীর NID যাচাই করা যাবে জেলা নির্বাচন অফিসে

চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করা যাবে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে। এজন্য ফি পরিশোধ করে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

সরকারি চাকরী প্রার্থীদের এনআইডি যাচাই করার জন্য আগে ঢাকায় পাঠানো হত। সেখান থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য পাঠানো হত। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লেগে যেত। এতে চাকরী প্রার্থীরাও পড়তেন বিড়ম্বনায়।

Advertisement

এসব সমস্যা সমাধানে এখন থেকে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করা যাবে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে। তবে এজন্য ১০০ টাকা ফি পরিশোধ করে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। জানুন বিস্তারিত।

সম্প্রতি বিভিন্ন দফতর, সংস্থার সঙ্গে এ সংক্রান্ত বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে পরবর্তীতে এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর মাঠ কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন- সরকারি চাকরিজীবীদের এনআইডি সংশোধন কঠিন হলো, লাগবে কর্তৃপক্ষের মতামত

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দফতর, সংস্থা থেকে অফিসিয়ালি সহযোগিতা চাওয়া হলে সিনিয়র জেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় হতে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের সুযোগ প্রদান করতে হবে।

প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও Porichoy গেটওয়ের মাধ্যমে এনআইডি সার্ভারের তথ্য শেয়ার করছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চুক্তির মাধ্যমে ইসির সার্ভার থেকে নাগরিকের তথ্য যাচাই সেবাগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৪টি প্রতিষ্ঠান।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সার্ভার ব্যবহার করে থাকে ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটরগুলো। অর্থাৎ এ দুই ধরণের প্রতিষ্ঠান থেকেই অধিকাংশ রাজস্ব আদায় হয়। চুক্তিতে আসার পর প্রথমেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্দিষ্ট অংকের এককালীন অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

Advertisement

বর্তমানে প্রতি এনআইডি যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুইটাকা করে ফি দিতে হয়। তবে সম্প্রতি এ ফি বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন- NID Smart Card পেতে আবার দিতে হবে ১০ আঙ্গুলের ছাপ

নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে এনআইডি ডাটাবেজ ব্যবহার প্রচলন চালু করে। ধীরে ধীরে এখন সব প্রতিষ্ঠানই ইসির সঙ্গে তথ্য শেয়ারের এ চুক্তিতে আসছে। এতে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়ছে, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে জাল-জালিয়াতি।

এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। এরপর সেই তথ্য নিয়েই গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। এতে বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য ছাড়াও দেশের ১২ কোটির বেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। যেখান থেকে নিমিষেই বের করা যাচ্ছে যেকোনো নাগরিকের পরিচয়।

Advertisement

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪

Advertisement

Similar Posts

One Comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।