জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড

না, কোন বেসরকারি বা সরকারি চাকরীর জন্য বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয় না।

জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইনে পাওয়ার জন্য ‍services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে, ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর একাউন্টে লগইন করুন। তারপর ডাউনলোড অপশন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করা যাবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার এনআইডি কার্ড পাওয়া না গেলে আপনাকে অনলাইনে রিইস্যুর আবেদন করতে হবে। এজন্য প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর বিষয়ে থানায় জিডি করুন এবং অনলাইনে আইডি কার্ড রিইস্যুর আবেদন করুন। আবেদন অনুমোদন হলে মোবাইলে SMS পাবেন, তখন অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

Advertisement

জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর হতে হবে। ১৬ বছর হওয়ার পর আপনি অনলাইনে বা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই ও বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়ার পর অনুমোদন হলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র পাবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন করতে প্রয়োজন হয়, S.S.C. অথবা সমমানের সার্টিফিকেট, জন্ম সনদ, বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি, ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ি ভাড়ার রসিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট ইত্যাদি।

জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ ১৫ বছর। আবার ২০১৭ সালের পর অস্থায়ী ভিত্তিতে যেসব জাতীয় পরিচয় পত্র দেয়া হচ্ছে, তার মেয়াদ ২ বছর।

হ্যাঁ, NID এবং জাতীয় পরিচয় পত্র একই। NID এর পূর্ণরূপ হচ্ছে National Identity Card যার বাংলা অর্থ জাতীয় পরিচয় পত্র।

Advertisement

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় জিডি করে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যু করার আবেদন করে উঠানো যায়।

নতুন ভোটার নিবন্ধন

জাতীয় পরিচয় পত্র করতে কি কি লাগে?

জাতীয় পরিচয় পত্র করতে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, পিতা ছাড়া রক্তের সম্পর্ক আছে এমন ৩ জনের (ভাই/বোন/চাচা/ফুফু) জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ঠিকানার প্রমাণ ও ব্লাড গ্রুপ টেস্ট রেজাল্ট প্রয়োজন হবে।

আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, এখন কি করব?

আপনি অনলাইনে যে কোন সময় ভোটার রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর অনলাইন থেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, এখন কিভাবে করবো?

আপনি অনলাইনে যে কোন সময় ভোটার রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর অনলাইন থেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

Advertisement

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্র কিভাবে সংশোধন করব?

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য উপযুক্ত প্রমানপত্র আপলোড করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য ভিজিট করুন – services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে। এনআইডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে প্রোফাইলের এডিট বাটনে ক্লিক করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন ও ফি পরিশোধ করে আবেদন সাবমিট করুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে?

সংশোধনের ধরণ ও ক্যাটাগরি অনুযায়ী জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন লাগে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে যে কোন সংশোধন আবেদন অনুমোদন বা বাতিল করা হয়।

জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে?

জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম সংশোধনের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট। এগুলোর না থাকলে সরকারী চাকুরির সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন ইত্যাদিও গ্রহণ করা যেতে পারে। বিস্তারিত দেখুন- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

Advertisement