জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান? জানুন কি কি লাগবে, কিভাবে ভোটার আইডি সংশোধনের (NID Card Correction) জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন বিস্তারিত।
নতুন ভোটার হয়েছেন, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে দেখতে পেলেন নাম, পিতার নাম বা অন্য কোন তথ্যে ভুল রয়েছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। মাত্র ৭/১৫ দিনের মধ্যেই অনলাইনে আবেদন করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে পারেন।
আসুন প্রথমে জেনে নিই অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগবে। এরপর দেখবো অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম।
আপডেট: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নতুন ভোটার নিবন্ধন, আইডি কার্ড সংশোধন ও কার্ড বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত আছে। নির্বাচনের পর আবার চালু হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সাধারনত প্রয়োজন হয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন নামা, পিতা-মাতার আইডি কার্ড ও সন্তানদের আইডি কার্ড। এগুলোর যে কোন ২টি ডকুমেন্ট দিয়ে এন আই ডি কার্ড সংশোধন করা যায়।
মুলত তথ্য সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আলাদা হয়ে থাকে। নিচে সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো ছকে দেয়া হলো;
সংশোধনের বিষয় | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট |
---|---|
নাম সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এমপিও সিট/সার্ভিস বহি বিবাহের কাবিন নামা কমপক্ষে ২ সন্তানের এনআইডি কার্ডের কপি যেখানে পিতা/মাতার নাম শুদ্ধ আছে |
জন্ম তারিখ সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এমপিও সিট/সার্ভিস বহি বিবাহের কাবিন নামা কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন |
পিতা-মাতার নাম সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ; অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ; পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স; পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র; পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন; চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন; ওয়ারিশন সনদ/প্রত্যয়নপত্র (পিতার সকল সন্তানদের জন্মের ক্রম অনুযায়ী নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখিত) ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয়পত্র। |
NID সংশোধন করতে কি কি লাগে তার বিস্তারিত জানতে দেখুন- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে। তাছাড়া, নির্বাচন কমিশন এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য একটি Standard Operation Procedures (SOP) খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে ২৩০ টাকা ফি লাগে। এছাড়া এনআইডি কার্ডের অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা এবং উভয় ধরণের তথ্য সংশোধনের জন্য ৩৪৫ টাকা লাগে। বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র ফি পরিশোধ করা যায়।
আসুন এবার জানি, কিভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদন করবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd ভিজিট করুন। এখানে NID নম্বর, জন্মতারিখ ও ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। লগইন করে প্রোফাইল থেকে এডিট লিংক ক্লিক করে তথ্য গুলো সংশোধন করুন। এরপর সংশোধন ফি ও প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন। আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়াটি নিচে বিস্তারিত দেখানো হলো। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করে আপনার এনআইডি সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।
ধাপ ১ – প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান/ ছবি তুলে নিন
ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন করার আগে আপনার উচিত প্রয়োজনীয় প্রমাণগুলো স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে Crop করে নেয়া। স্ক্যান করতে না পারলে, কোন টেবিলের উপর রেখে উপর থেকে ছবি তুলে নিন।
ধাপ ২ – এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন
যদি জাতীয় পরিচয়পত্রের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে সরাসরি NID নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে আগে রেজিস্টার অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন।
দেখুন কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
ধাপ ৩ – তথ্য সংশোধন করুন
জাতীয় পরিচয় পত্রের একাউন্টে লগইন করার পর প্রোফাইল অপশনে যান। এখানে ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা।
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার জন্য, উপরের ডান পাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করবেন। নিচের মত তথ্যগুলো সংশোধন করার অপশন পাবেন।
আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, তার বাম পাশের টিক অপশনে ক্লিক করুন। এভাবে আপনার ভুল তথ্যগুলো প্রমাণপত্রের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন। তারপর, পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্বরুপ ও সংশোধিত রুপ দেখতে পাবেন। সব ঠিক থাকলে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪ – জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি প্রদান করুন
এখন, আপনাকে আপনার ভুল তথ্যের ধরণ অনুযায়ী ফি প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের এতক্ষণ যা করেছেন তা ক্লোজ করবেন না। ফি প্রদান করেই আপনাকে আবার আবেদনের বাকি কাজ শেষ করতে হবে। আরও পড়ুন- এনআইডি সংশোধন করতে কত টাকা লাগে।
বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
বিকাশের মাধ্যমে ফি দিতে বিকাশ এ্যাপ থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন। এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- পে বিল অপশনে যান;
- সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করুন এবং NID Service অপশনটি বাছাই করুন;
- আপনার NID নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন;
- আপনার আবেদনের ধরণ বাছাই করুন;
- আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে ফি পরিশোধ করুন।
ফি পরিশোধ করা হলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে আবার ফিরে জান এবং প্রমাণপত্রসমূহ আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করুন।
ধাপ ৫ – ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট
আপনাকে ১ম ধাপেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো স্ক্যান বা ছবি তুলে একটি ফোল্ডারে রাখার জন্য বলেছিলাম। এখন প্রয়োজন মোতাবেক আপনার ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন।
আপনি আইডি কার্ডের যে তথ্য পরিবর্তনের জন্য আবেদন জমা দিতে চলেছেন, তা প্রমান করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড কতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য সবথেকে কার্যকর প্রমান হলো শিক্ষাগত যোজ্ঞতার সনদ, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। তার পাশাপাশি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড করতে হবে।
ধাপ ৬ – ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড
আবেদন সাবমিট করার পর, ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন। উপরের দিকে আবেদনটি ডাউনলোড করার একটি লিংক দেখতে পাবেন। লিংকে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর লগইন করে প্রোফাইল অপশনে যান। এডিট লিংকে ক্লিক করে সঠিক জন্ম তারিখ লিখে ফি পরিশোধ করুন। সবশেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে বা ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে প্রয়োজন হয় এসএসসি বা সমমানের একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন। একাডেমিক সার্টিফিকেট না থাকলে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি এবং বিয়ের কাবিন নামা দেয়া যায়।
আরও পড়ুন- জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কত দিন লাগে
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ডে নিজ নাম সংশোধন করতে জেএসসি / এসএসসি / এইচএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন লাগে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকলে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন ও কমপক্ষে ২ সন্তানের আইডি কার্ডের কপি এগুলো থেকে যে কোন একটি দেয়া যায়।
অর্থাৎ আপনার নাম বা জন্ম তারিখের প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে ২টি ডকুমেন্ট দিলে ভাল হয়। যেকোন ১ টি ডকুমেন্ট দিয়েও আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবেদন অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তাই উপরে বর্ণিত ডকুমেন্ট গুলোর যে কোন ২টি ডকুমেন্ট দিলে ভাল হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন
জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্যের মধ্যে রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ঠিকানা ইত্যাদি। অনলাইনে আবেদন করে সঠিক প্রমাণ আপলোড করে এসব তথ্য সংশোধন করা যাবে। অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ভ্যাট সহ ১১৫ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের সম্পুর্ণ ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়না। শুধুমাত্র বাসার নম্বর ও গ্রামের নাম সংশোধন করা যায়। সম্পূর্ণ ঠিকানা সংশোধনের জন্য একটি ঠিকানা পরিবর্তন ফরম পূরণ করে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন ফি ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন ফি ১১৫ টাকা। উভয় তথ্য সংশোধন ফি ভ্যাটসহ ৩৪৫ টাকা, রিইস্যু আবেদন ফি ৩৪৫ টাকা এবং জরুরী রিইস্যু ফি ৫৭৫ টাকা।
সংশোধনের ধরণ | ফি’র পরিমাণ |
---|---|
এনআইডির তথ্য সংশোধন – NID Info Correction | ২৩০ টাকা |
অন্যান্য তথ্য সংশোধন – Other Info Correction | ১১৫ টাকা |
উভয় তথ্য সংশোধন – Both Info Correction | ৩৪৫ টাকা |
রিইস্যু – Duplicate Regular | ৩৪৫ টাকা |
রিইস্যু জরুরী – Duplicate Urgent | ৫৭৫ টাকা |
বিস্তারিত পড়ুন – ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সাধারনত প্রয়োজন হয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন নামা ইত্যাদি।
আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। একাউন্টে লগইন করে প্রোফাইল অপশনে যান। এবার এডিট লিংকে ক্লিক করে সঠিক জন্ম তারিখ লিখে পরবর্তী ধাপে যান। এবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ৭/১৫ দিন লাগে। তবে ক্ষেত্রে বিশেষে এটি সর্বোচ্চ ৪৫ দিন লাগতে পারে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী NID Card সংশোধন আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন বা বাতিল করা হয়।
ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধন করতে জেএসসি/এসএসসি/ এইচএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন লাগে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকলে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন ও কমপক্ষে ২ সন্তানের আইডি এগুলোর যে কোন ১টি দেয়া যায়।
ভোটার আইডি কার্ডে একই তথ্য এক বারের বেশী সংশোধন করা যায় না। তবে, ঠিকানা, স্বামীর নাম, স্ত্রীর নাম এবং রক্তের গ্রুপ একাধিকবার সংশোধন করা যায়।
জীবিত কোন ব্যক্তিকে মৃত উল্লেখ করা হলে, তা সংশোধনের জন্য সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র দাখিল করতে হবে।
এনআইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফরম ২ পূরণ করে আবেদন করতে হবে। সংশোধন ফি বাবদ ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা লাগে।
নিজ পিতা মাতার নাম সংশোধন করতে শিক্ষা সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ভাই-বোনের এনআইডি কার্ড জমা দিতে হবে। স্বামীর নাম সংশোধন করতে বিবাহের কাবিন নামা এবং স্বামীর এনআইডি জমা দিতে হবে।
স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি ভ্যাটসহ সর্বনিন্ম ২৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৪৫টাকা। স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন আবেদনের ক্যাটাগরির উপর সংশোধন ফি নির্ভর করে।
ক্যাটাগরি | NID Card Correction |
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট | আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে |
সময় | আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে |
সংশোধন ফি | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে |
আবেদন বাতিল | NID সংশোধন আবেদন বাতিল |
হোমপেইজ | NID BD |