জন্মের পরই দেয়া হবে NID: জাতীয় পরিচয় পত্র যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং জন্মের পরই সবাই পাবে ইউনিক আইডি।

জন্মের পরই দেয়া হবে এনআইডি
Advertisement

অবশেষে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ খসড়া চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনে বেশ কিছু নিয়ম ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এনআইডি নিবন্ধনের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনা এবং জন্মের পরই সবাইকে ইউনিক আইডি (Unique ID) প্রদান করা।

গত ১২ জুন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আসুন জানি, নতুন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে।

  • সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এই আইনের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য বিষয়ে জানান।
  • সচিব জানান, এই আইনের মাধ্যমে এনআইডি তৈরির কাজটি নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে একটি আলাদা প্রতিষ্ঠানে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
  • আইনের অধীনে একটি নিবন্ধক অফিস থাকবে এবং একজন নিবন্ধক থাকবেন। তারাই মূলত জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধনের কাজ করবেন। তবে নিবন্ধকের অফিস উপজেলা নাকি ইউনিয়নভিত্তিক হবে তার বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি যখন প্রতিষ্ঠা করা হবে তখন বিধি মোতাবেক এটা ঠিক করে নেবে।
  • একজন নাগরিক জন্মের পর পরই নাগরিক সনদ বা একটি ইউনিক আইডি নম্বর পাওয়ার অধিকারী হবেন। এটি জন্মের সাথে সাথে নিতে পারবেন। এই Unique ID Number টি অপরিবর্তিত থাকবে এবং এটা কোনো সময় পরিবর্তন করা যাবে না।
  • এই আইন মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের কাজ শুধুমাত্র ভোটার তালিকা তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কোন নাগরিক ১৮ বছরের বেশি হলেই নির্বাচন কমিশন এনআইডি প্রাপ্ত জনগনের তালিকা থেকে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে।
  • বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের যে সার্ভার রয়েছে সেটি আলাদা করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই আইন অনুযায়ী এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সেই সার্ভার থেকে সংগ্রহ করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধকের দপ্তরে স্থানান্তর করা হবে।
ADVERTISEMENT

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ পাস হওয়ার পরই এটি কার্যকর হবে না। আইনে একটি বিধান রাখা হয়েছে সরকার যে কোন নির্ধারিত তারিখ থেকে এটি কার্যকর করবে। অর্থাৎ আইনের গেজেট প্রকাশ হলেই এটি কার্যকর হবে না বরং সরকার যেদিন থেকে কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করবে সেদিন থেকে আইনটি কার্যকর হবে।

Advertisement

জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

ভোটার নিবন্ধননতুন ভোটার আবেদন
এনআইডি চেকভোটার আইডি কার্ড চেক
ডাউনলোডজাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড
সংশোধনজাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

শেষকথা

বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই সব নাগরিকের একটি ইউনিক আইডি নম্বর নিয়ে ভাবছিল। একজন নাগরিককে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইডি নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, কখনো জন্ম নিবন্ধন, কখনো এনআইডি, কখনো পাসপোর্ট ইত্যাদি। এসব আইডি ডকুমেন্টে বিভিন্ন নাগরিকের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য নিয়ে তৈরি হয় নানা জটিলতা।

তাই কোন নাগরিকের জন্মের পরই একটি নির্দিষ্ট ও Unique Identity Number দেয়া হবে যেটি হবে তার সারা জীবনের পরিচয়। এতে করে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ভুল হওয়া বা কোন জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

Advertisement

Similar Posts

2 Comments

  1. আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে সময় মত প্রচার করার জন্য।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।