NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID সংশোধন আবেদন বাতিল করতে আপনাকে একটি লিখিত আবেদন করতে হবে। দেখুন NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম ও আবেদনের নমুনা।
Nid সংশোধনের আবেদন করার পর যদি তা বাতিল করার প্রয়োজন হয় তাহলে তা বাতিল করা সম্ভব? অনেকেই আজকাল অনলাইনে এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বেরাচ্ছেন। এই ব্লগে আপনাদের NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম কি বা আদৌও কি বাতিল করা সম্ভব নাকি, কিভাবে বাতিল করবেন এই সম্পর্কে কিছু দরকারি তথ্য জানাব।
অনেকেই NID সংশোধনের জন্য আবেদন করার পর বিভিন্ন কারণে তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাতিল করার সঠিক নিয়ম না জানলে বা সংশোধন আবেদনটি অনুমোদন হয়ে গেলে তা আবার সমস্যার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
এধরনের ঝামেলা এড়াতে আজকে আমরা NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার জন্য আপনাকে একটি লিখিত আবেদন করতে হবে আপনার ভোটার এলাকার উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর। আবেদনে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, এনআইডি নম্বরসহ আবেদন বাতিলের কারণ উল্লেখ করুন। আপনার আবেদন গ্রহণের পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনআইডি সংশোধনের আবেদন বাতিল করতে পারেন।
সংশোধন আবেদন বাতিলের আবেদনের নমুনা
আবেদনটি অবশ্যই A4 সাইজের কাগজের মধ্যে সুন্দর করে হাতে লেখা বা কম্পিউটারে টাইপ করে লেখা হতে হবে। আবেদনটি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হবে, অন্য কেউ আবেদন নিয়ে গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
চলুন এবার আবেদন করার জন্য কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে তার একটি নমুনা দেখে নেয়া যাক।
এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিলের দরখাস্তের নমুনা
তারিখ : ০৮/০৫/২০২৩
বরাবর,
উপজেলা নির্বাচন অফিসার,
মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
বিষয়: NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে আমি মোঃ আবুল কালাম, পিতা: মোঃ মোরশেদ কালাম, গ্রাম/মহল্লা: মিরপুর, ডাকঘর: মিরপুর, জেলা: ঢাকা, বিগত ০৫/০৫/২০২৩ তারিখে অনলাইনে আমার এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য একটি আবেদন করেছিলাম। আমার NID নম্বর ১২৩৪৫৬৭৮৯০, জন্মতারিখ: ১৫/০২/২০০১ ইং। আমার আবেদনটি অনলাইনে এখনো অনুমোদিত হয়নি।
যে সমস্যার কারণে আমি আমার এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য আবেদন করেছিলাম তা সমাধান হয়ে যাওয়ায়, আমি আমার সংশোধনের আবেদনটি বাতিল করতে ইচ্ছুক।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আমারে বিনীত অনুরোধ এই যে আমার NID সংশোধন আবেদনটি বাতিল করে আমাকে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক –
নাম: মো: আবুল কালাম
NID: ১২৩৪৫৬৭৮৯০
মোবাইল: ০১৯১০০০০০০০
উপরোক্ত নমুনার মতো একটি দরখাস্ত লিখে বা Computer Type করে আপনি যে এলাকায় ভোটার সেখানকার উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে জমা দিন। তিনি NID সংশোধন আবেদন বাতিল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে আবেদনের নমুনাটি Docx ফরমেটে এবং একটি PDF ফরমেটে দেয়া হলো। ফাইলটি আপনার Computer বা Mobile থেকে Edit ও Print করে জমা দিতে পারেন।
NID সংশোধন আবেদন বাতিল ফরম ডাউনলোড
শেষকথা
NID সংশোধনের জন্য আবেদন করার পর যদি আপনার মনে হয় তা বাতিল করা প্রয়োজন তবে সাথে সাথে তা বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। সময়মতো NID সংশোধন আবেদন বাতিল করা সম্ভব না হলে তা সমস্যার সৃষ্টি করবে।
FAQ’s
আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পূর্বে আবেদনের সময় থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে NID সংশোধন আবেদন বাতিলের আবেদন করতে হবে।
এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করতে কোনো টাকা লাগে না।
এনআইডি সংশোধনের আবেদন বাতিল হতে ৭ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন সংক্রান্ত আরও তথ্য
ক্যাটাগরি | NID Card Correction |
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে |
সময় | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে |
সংশোধন ফি | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে |
হোমপেইজ | NID BD |
নির্বাচনের পর যদি পুনরায় আইড কার্ড বানানো হয়,তাহলে ওইটা কি আগের আইডি কার্ড অনুযায়ী হবে নাকি জন্মনিবন্ধন কার্ড অনুযায়ী হবে?
এনআইডি কার্ড ২ বার বানানো যায় না।
বয়স পরিবর্তনে এস এস সি পাস না থাকলে উপায় কি? যদিও ভূল করে কার্ডে মাধ্যমিক পাস দেয়া।
ভুল করে দেয়া হোক বা যেভাবেই হোক, এসএসসির উপর থাকলেই, বয়স ও নাম পরিবর্তনের জন্য এসএসসি সনদ দিতেই হবে। না দিলে সেক্ষেত্রে, পাসপোট, জন্ম নিবন্ধন সহ এফিডেভিট দিতে পারেন। অথবা আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধন করে কমাতে হবে, এজন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন লাগবে।